আজ ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিনম্র চিত্তে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করে (১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত) ঢাকার রায়েরবাজারে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় ।
স্বাধীনতার চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে জাতির সূর্যসন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এই মেধা ও মননের নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করে পরাধীন রাখার একটি নির্মম ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল।
এই উপলক্ষ্যে সকাল ৭টায় রাজধানী ঢাকার মগবাজারে অবস্থিত বি.আর.পি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পার্টির নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন । পার্টির সদস্য সচিব জনাব মোঃ তৌহিদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে সর্বসম্মতিক্রমে বেশকিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সভায় বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি জনাব সোহেল রানার অনুমতিপ্রাপ্ত হয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন (অর্ধনমিত) করা হয়। জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, লায়ন মোঃ জাহিদ হোসেন পলাশ, সৈয়দ মোঃ মাসুদ রানা, মোঃ নাজমুল আলম, মোঃ মাহবুবুর রহমান এবং ড. নাজমুল করিম। হঠাৎই শীতের প্রকোপ অত্যন্ত বেশী হওয়ার জন্য এবং রাস্তার অসম্ভব জ্যাম থাকার জন্য বেশী লোকজনকে সেখানে যেতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচি সফল করতে ঢাকাসহ সারাদেশে সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের আহবান জানানো হয়। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির স্মরণে বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টির নেতাকর্মীরা বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দোয়া, প্রার্থনা এবং শোক প্রকাশ করেন।
পার্টির সদস্য সচিব জনাব মোঃ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালে সংঘটিত স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিজয়ের ঠিক দ্বারপ্রান্তে এসে অর্থাৎ বিজয়ের ঠিক এক দিনের কিছু সময়ের বেশি – এমন এক চরম মূহুর্তে কারা এই জাতীর বুদ্ধিমান এবং শ্রেষ্ঠ সন্তানদের উপর গণহত্যা চালিয়েছে – সেটা পূণরায় তদন্ত চাওয়া হয়। বলা হয়, এটা সাধারণ কোনো গণহত্যা নয়, এটা বিশেষ ধরনের গণহত্যা। চূড়ান্ত পরাজয়ের কয়েক ঘণ্টা পূর্বে, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী এতো সাংঘাতিক ধরনের একশন নেয়ার মতো অবস্থায় ছিলো কিনা, নাকি অন্য কোনো বাহিনী তা করেছে, প্রয়োজনে সেটা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে পূণরায় তদন্ত করার জোর দাবি জানানো হয়। যারা আমাদের বুদ্ধিজীবীদের উপর গণহত্যা চালিয়েছে, তারা পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হোক অথবা তাদের দোসর হোক অথবা তারা যে দেশেরই হোক না কেনো -তাদেরকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার শপথ গ্রহণ করা হয়। বুদ্ধিজীবীরা মানব জাতীর সম্পদ, তাদের উপর গণহত্যা চালানোর মতো নিকৃষ্ট কাজ কোনো ধরনের যুদ্ধ নীতিমালার মধ্যেই পড়ে না। সকল নেতৃবৃন্দের সম্মতিক্রমে এই গণহত্যার বিচার বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টির অঙ্গীকার হিসেবে ঘোষণা করা হয় ।
শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণকালে বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টির যুগ্ম-আহবায়ক সৈয়দ মোঃ মাসুদ রানা বলেন, “শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ কখনোই বৃথা যেতে পারে না। তাঁদের মেধা, শ্রম এবং ত্যাগের ভিত্তিতে আজকের বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে। এই দিনে আমাদের অঙ্গীকার হওয়া উচিত দেশ গঠনে তাঁদের আদর্শ ও শিক্ষাকে বাস্তবায়ন করা।”