প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) ৫৭০ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেছে
ঢাকা, বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) আনুষ্ঠানিকভাবে ৫৭০ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। নবগঠিত এই কেন্দ্রীয় কমিটি আগামী পাঁচ বছরের জন্য অনুমোদিত হয়েছে।
দলের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ সোহেল রানা পুনরায় নির্বাচিত হয়ে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকছেন। একই সঙ্গে তরুণ রাজনৈতিক সংগঠক মোঃ তৌহিদুল ইসলাম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এই কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ ০৫ জুন ২০২৫ থেকে ০৪ জুন ২০৩০ পর্যন্ত নির্ধারিত হয়েছে।
নেতৃত্বের বক্তব্য
বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি)-র চেয়ারম্যান মোঃ সোহেল রানা বলেন:
“বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) সবসময় জাতীয় ঐক্য, সুশাসন ও উন্নয়নের নীতি সামনে রেখে এগিয়ে এসেছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সংস্কারের মাধ্যমেই দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব। আমাদের লক্ষ্য হলো জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক, ন্যায়ভিত্তিক ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্রে পরিণত করা।”
তিনি আরও বলেন:
“আল্লাহর রহমতে যতদিন আমি দায়িত্বে থাকব, দলের ভেতরে কোনো ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি বা ব্যর্থতা রাখতে দেব না। আমাদের অঙ্গীকার হলো দলকে একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও গণমুখী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে গড়ে তোলা। আগামী পাঁচ বছরে আমরা একাধিক জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করব—যার মধ্যে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবার বিস্তার এবং যুবশক্তির কার্যকর ব্যবহারের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে।”
অন্যদিকে দলের মহাসচিব মোঃ তৌহিদুল ইসলাম বলেন:
“সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। জনগণের চাহিদা ও সময়ের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক কর্মসূচি তৈরি করতে হয়। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সংস্কারের মাধ্যমেই জনগণের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা সম্ভব এবং একটি স্বচ্ছ ও উন্নয়নমুখী রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা যায়।”
দলের লক্ষ্য ও ভিশন
বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) দীর্ঘদিন ধরে একটি মূলমন্ত্র নিয়ে কাজ করে আসছে:
“সংস্কারেই পরিবর্তন, পরিবর্তনেই বাংলাদেশ।”
দলীয় নেতৃত্ব মনে করে, বিদ্যমান রাজনৈতিক কাঠামোতে সাহসী সংস্কার ছাড়া একটি সমৃদ্ধ ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়।
আগামী পাঁচ বছরে বিআরপি বিশেষভাবে নিচের বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেবে:
সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতিমুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ গঠন
যুব ও নারী নেতৃত্বকে মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করা
শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানে বাস্তবমুখী সংস্কার বাস্তবায়ন
গ্রামীণ উন্নয়ন ও স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা
ডিজিটাল ও উন্নয়নভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা
তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া
কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। তারা বিশ্বাস করেন, নতুন নেতৃত্ব ও কার্যকর পরিকল্পনার মাধ্যমে বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) জাতীয় রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করবে।