শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠককালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অযৌক্তিকভাবে সময় নষ্ট করবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে দলগুলোর প্রতিনিধিরা সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
প্রতিনিধিরা জানান, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত সময়ে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়াও সংলাপে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য নিশ্চিত করা, দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া, এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাসহ সাংবিধানিক কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের দাবি উপস্থাপন করেছেন নেতারা।
এসময় প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান করে দেশকে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে নেওয়া হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচন আয়োজনের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দল এবং জোটের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এর আগে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী, খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী আন্দোলন এবং নেজামে ইসলাম বাংলাদেশ—এই ৭টি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।
খেলাফত মজলিসের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ। প্রতিনিধি দলে ছিলেন মহাসচিব অধ্যাপক আহমদ আবদুল কাদের, নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মুনতাসীর আলী এবং প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক কাজী মিনহাজুল ইসলাম মিলন।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দলটির আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ। তার সঙ্গে ছিলেন মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক এবং যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দলের আমির চরমোনাই পীর মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। তার সঙ্গে ছিলেন মুফতি ফয়জুল করীম, অধ্যক্ষ ইউনুস আহমেদ, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এবং আশরাফুল আলম।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একাংশের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দি।
হেফাজতে ইসলামের পক্ষে নেতৃত্ব দেন মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন আজিজুল হক ইসলামাবাদী এবং কেন্দ্রীয় নেতা মুনীর হোসেন কাশেমী।
নেজামে ইসলামের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দলটির নির্বাহী সভাপতি মাওলানা আশরাফুল হক। তার সঙ্গে ছিলেন মহাসচিব মাওলানা মোমিনুল ইসলাম। খেলাফত আন্দোলনের পক্ষে নেতৃত্ব দেন নায়েবে আমির মাওলানা মজিবুর রহমান হামেদি।