বাংলাদেশ জাতিসংঘের গুম এবং নির্যাতনবিষয়ক কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই স্বাক্ষর করেন।
সূত্র জানায়, দায়িত্ব গ্রহণের পর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এবং দেশের বাইরে থাকা বাংলাদেশ মিশনের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তিনি ঢাকার কূটনীতিকদের জানান যে অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর অংশ হিসেবে জাতিসংঘের গুম এবং নির্যাতনবিষয়ক কনভেনশনে দ্রুত স্বাক্ষর করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকার সংস্থাকে কার্যকর করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এ লক্ষ্যে, যারা মানবাধিকার সংগঠক (অ্যাক্টিভিস্ট) তাদেরকে দায়িত্ব প্রদান করা হবে, সরকারি কর্মকর্তাদের নয়। এছাড়া, বহুল সমালোচিত দেশের সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা বা প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে। মূলত মানবাধিকার ইস্যুতে সরকার কোনো প্রকার ছাড় দিতে রাজি নয়।
গত ১৬ বছরে র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ঘটে যাওয়া গুমের ঘটনা তদন্তে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিশন গঠন করেছে সরকার। গত ২৭ আগস্ট ‘কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬’ এর আওতায় এই কমিশন গঠন করা হয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন—বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস এবং মানবাধিকার কর্মী সাজ্জাদ হোসেন।